অনুসন্ধান ফলাফলগুলি - Mahoma.
মুহাম্মাদ
| alt = বাক্যটির অর্থ হলো মুহাম্মাদ আল্লাহর প্রেরিত রাসুল। | birth_date = খ্রি. (৫৩ হিজরিপূর্ব) | birth_place = | death_date = খ্রি. (১১ হিজরি; বয়স ৬১–৬২) | death_place = | resting_place = | resting_place_coordinates = | other_names = | known_for = ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক | spouse = ''মুহাম্মাদের স্ত্রীগণ'' দেখুন | children = ''মুহাম্মাদের সন্তানগণ'' দেখুন | parents = | relatives = | module = | religion = ইসলাম | home_town = মক্কা | ethnicity = আরব | father = আবদুল্লাহ ইবনে আবদুল মুত্তালিব | mother = আমিনা বিনতে ওহাব }}মুহাম্মাদ)}} (; ) অনুযায়ী, প্রভাবশালী ইসলামি ঐতিহ্যে মুহাম্মাদের মৃত্যুর তারিখ হিসেবে ৮ জুন ৬৩২ খ্রিষ্টাব্দ সর্বাধিক গ্রহণযোগ্য। তবে অনেক প্রাচীন (মূলত অ-ইসলামি) সূত্রে দাবি করা হয়েছে, তিনি ফিলিস্তিন বিজয়ের সময়ও জীবিত ছিলেন।}} ষষ্ঠ ও সপ্তম খ্রিষ্টীয় শতাব্দীর ধর্মীয়, সামাজিক ও রাজনৈতিক নেতা ছিলেন। তার পূর্ণ সম্মানসূচক নাম হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। অমুসলিম প্রায় সকল ইতিহাসবিদদের মতে, তিনি ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক ছিলেন। অনুযায়ী, ''অক্সফোর্ড এনসাইক্লোপিডিয়া অব দ্য ইসলামিক ওয়ার্ল্ডে'' লেখা হয়েছে: ইসলামের নবি ছিলেন একজন ধর্মীয়, রাজনৈতিক ও সামাজিক সংস্কারক, যিনি বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ একটি সভ্যতার সূচনা করেন। আধুনিক ঐতিহাসিক দৃষ্টিকোণ থেকে, মুহাম্মাদ ছিলেন ইসলামের প্রতিষ্ঠাতা। তবে ইসলামি বিশ্বাস অনুযায়ী, তিনি ছিলেন আল্লাহর বার্তাবাহক (), যিনি প্রথমে আরবদের এবং পরে সমগ্র মানবজাতিকে সতর্কবার্তা দেওয়ার জন্য প্রেরিত হন।}} তবে ইসলামি মতবাদ অনুযায়ী, তিনি আল্লাহর প্রেরিত একজন নবি; যিনি আদম, ইব্রাহিম, মুসা, ইসা এবং অন্যান্য নবিদের একত্ববাদী শিক্ষাকে প্রচার ও দৃঢ় করতে এসেছিলেন। মুসলিমগণ বিশ্বাস করেন যে, মুহাম্মাদ ছিলেন আল্লাহ প্রেরিত শেষ নবি ও রাসুল এবং কুরআন ও মুহাম্মাদের জীবনাদর্শ হলো ইসলাম ধর্মের মূলভিত্তি।
মুহাম্মাদ আনুমানিক ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দে মক্কা নগরীতে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম আব্দুল্লাহ এবং মাতার নাম আমিনা। মুহাম্মাদের জন্মের পূর্বেই তার পিতা এবং ছয় বছর বয়সে তার মাতা মৃত্যুবরণ করেন। এতিম মুহাম্মাদ পরবর্তী দুই বছর তার দাদা আবদুল মুত্তালিবের কাছে লালিত পালিত হন। দাদার মৃত্যুর পরে তার চাচা আবু তালিবের আশ্রয়ে বড় হন। তিনি শৈশবে মেষপালক ছিলেন এবং পরবর্তীতে বাণিজ্যে নিযুক্ত হন। তিনি ২৫ বছর বয়সে খাদিজাকে বিয়ে করেন। ইসলামের আগমনের পূর্ব থেকেই তিনি মূর্তি পূজা এবং পৌত্তলিক রীতিনীতি বর্জন করে চলতেন। নবুয়তের পূর্ববর্তী জীবনে তিনি মাঝে মাঝে নূর পর্বতের হেরা নামক গুহায় রাত্রি যাপন করতেন এবং একাগ্রচিত্তে ধ্যানমগ্ন থাকতেন। মুহাম্মাদ পড়তে এবং লিখতে জানতেন না।
আনুমানিক ৬১০ খ্রিস্টাব্দে, হেরা গুহায় অবস্থানকালে ফেরেশতা জিবরাইল মুহাম্মাদের কাছে আসেন এবং আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রথম ওহি বা বাণী পৌঁছে দেন। তখন মুহাম্মাদের বয়স ছিল ৪০ বছর। প্রথম তিন বছর তিনি গোপনে ইসলাম প্রচার করেন। ৬১৩ খ্রিস্টাব্দে মুহাম্মাদ সর্বসমক্ষে এসব বাণী প্রচার করা শুরু করেন। তিনি ঘোষণা করেন, "আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয়, আল্লাহর কাছে সম্পূর্ণ আত্মসমর্পণ (ইসলাম) হলো জীবনের একমাত্র সঠিক পথ (''দ্বীন'') এবং ইসলামের অন্যান্য নবিদের মতোই তিনি আল্লাহর একজন নবি ও রাসুল।"
মুহাম্মাদের অনুসারীর সংখ্যা প্রথমদিকে খুবই কম ছিল। মক্কার বহুঈশ্বরবাদী কুরাইশদের পক্ষ থেকে তিনি ১৩ বছর ধরে নির্যাতনের শিকার হন। ক্রমাগত নিপীড়নের হাত থেকে বাঁচতে ৬১৫ খ্রিস্টাব্দে তার কিছু অনুসারী আবিসিনিয়ায় (বর্তমান ইথিওপিয়া) চলে যান। পরবর্তীতে ৬২২ খ্রিস্টাব্দে কুরাইশ বংশের নেতৃবৃন্দ তাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করলে তিনি ও তার অনুসারীরা মক্কা থেকে মদিনায় (তৎকালীন নাম ইয়াসরিব) চলে যান। এই ঘটনাকে ''হিজরত'' বলা হয়। এই ঘটনার মাধ্যমে ইসলামি বর্ষপঞ্জি বা হিজরি সনের সূচনা হয়। মদিনায় মুহাম্মাদ সকল গোত্রকে ঐক্যবদ্ধ করেন এবং একটি চুক্তির মাধ্যমে মদিনা সনদ প্রতিষ্ঠা করেন। ৬২৯ খ্রিস্টাব্দের ডিসেম্বরে, মক্কার গোত্রগুলোর সাথে আট বছরব্যাপী আন্তঃবৈরিতার পর, মুহাম্মাদ দশ হাজার মুসলিম সৈন্যের একটি বাহিনী নিয়ে মক্কা শহরের দিকে অগ্রসর হন। তিনি প্রায় বিনা রক্তপাতেই মক্কা নগরী জয় করেন। ৬৩২ খ্রিস্টাব্দে বিদায় হজ থেকে ফেরার কয়েক মাস পর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং মৃত্যুবরণ করেন। তার মৃত্যুর সময় পর্যন্ত আরব উপদ্বীপের অধিকাংশ অঞ্চলে ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হয়ে গিয়েছিল।
মুহাম্মাদ তার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আল্লাহর কাছ থেকে যে বাণীগুলো লাভ করেন সেগুলো কুরআনের আয়াত হিসেবে পরিগণিত হয়। মুসলিমদের নিকট এটি আল্লাহর অবিকৃত বাণী হিসেবে পরিগণিত হয়, যার ওপর ভিত্তি করে ইসলাম ধর্ম প্রতিষ্ঠিত। কুরআনের পাশাপাশি মুহাম্মাদের নিজস্ব জীবনাদর্শ ও নির্দেশনা (''সুন্নাহ''), যা হাদিস ও সিরাত গ্রন্থে বর্ণিত আছে, সেগুলোকেও ইসলামি আইনের উৎস হিসেবে গণ্য করা হয়। উইকিপিডিয়া দ্বারা উপলব্ধ