অনুসন্ধান ফলাফলগুলি - Kepler, Johannes, 1571-1630.
ইয়োহানেস কেপলার

কর্মজীবনে কেপলার ছিলেন অস্ট্রিয়ার গ্রাৎস শহরে অবস্থিত একটি সেমিনারি স্কুলে গণিতের শিক্ষক যেখানে তিনি প্রিন্স হান্স উলরিখ ফন এগেনবের্গের একজন ঘনিষ্ঠ সহযোগীতে পরিণত হন। এরপরে তিনি বিখ্যাত জ্যোতির্বিজ্ঞানী ট্যুকো ব্রাহের সহকারী হন এবং একসময় সম্রাট দ্বিতীয় রুডলফ এবং তার দুই উত্তরসূরী মাটিয়াস ও দ্বিতীয় ফের্ডিনান্ডের রাজগণিতবিদ হিসেবে কাজ করেন। এছাড়া অস্ট্রিয়ার লিনৎস শহরে গণিত পড়িয়েছেন এবং জেনারেল ভালেনস্টাইনের উপদেষ্টা হিসেবেও তিনি কাজ করেছিলেন। পাশাপাশি তিনি আলোকবিদ্যার মৌলিক নীতি নিয়ে কাজ করেছেন, প্রতিসরণ দুরবিনের একটি উন্নততর সংস্করণ নির্মাণ করেন যার নাম বর্তমানে কেপলারীয় দূরবিন এবং তার সমসাময়িক গ্যালিলিও গ্যালিলেইয়ের দূরবিন বিষয়ক কাজ সম্পর্কে মন্তব্য করেন।
কেপলার যখন জীবিত ছিলেন তখন জ্যোতির্বিজ্ঞান ও জ্যোতিষ শাস্ত্রের মধ্যে কোন পার্থক্য ছিল না, কিন্তু জ্যোতির্বিজ্ঞানের সাথে সুস্পষ্ট পার্থক্য ছিল পদার্থবিজ্ঞানের। সেসময় পদার্থবিজ্ঞান ছিল প্রাকৃতিক দর্শনের একটি শাখা আর জ্যোতির্বিদ্যা ছিল লিবারেল আর্টসের অন্তর্ভুক্ত গণিতের একটি উপশাখা। কেপলারও তার আবিষ্কারগুলোকে ধর্মীয় যুক্তির মাধ্যমে সিদ্ধ করার চেষ্টা করেছিলেন, তিনি মনে করতেন ঈশ্বর একটি মহাপরিকল্পনার অংশ হিসেবে বিশ্বজগত সৃষ্টি করেছেন এবং প্রাকৃতিক কার্যকারণ অণুসন্ধানের মাধ্যমেই কেবল সেই পরিকল্পনার কিছুটা বোঝা সম্ভব। এজন্য বোধহয় কেপলারের গবেষণাকর্মকে জ্যোতির্বিজ্ঞান না বলে জ্যোতির্বিদ্যা বলাই বেশি যুক্তিসঙ্গত হবে। তিনি তার নতুন জ্যোতির্বিদ্যার নাম দিয়েছিলেন "খ-পদার্থবিদ্যা" (celestial physics) যাকে বিবেচনা করা যেতে পারে এরিস্টটলের অধিবিদ্যার জগতে একটি বিশেষ অভিযাত্রা এবং এরিস্টটলের "অন দ্য হ্যাভেনস" গ্রন্থের উত্তরখণ্ড হিসেবে। মোটকথা, জ্যোতির্বিদ্যাকে সর্বজনীন গাণিতিক পদার্থবিদ্যার একটি শাখা হিসেবে বিবেচনা করে তিনি ভৌত বিশ্বতত্ত্বের সুপ্রাচীন প্রথাকে একটি নতুন আঙ্গিক দিয়েছিলেন। উইকিপিডিয়া দ্বারা উপলব্ধ